সোহেল রানা – পাবনা প্রতিনিধি:
যৌতুকের কারণে স্ত্রী নির্যাতন,পরকীয়া ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ এর কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এস আই) নাছির আহম্মেদ কে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে পাবনা শহরের কাচারী পাড়ার মোস্তাক আহমেদ এর ছেলে নাছির আহম্মেদ পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগেই ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নাছির আহম্মেদ ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিলো। টাকা না দেওয়ায় নাছির প্রায়ই রুবিনা আক্তার কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে অন্যদের যোগসাজশে নাছির তার স্ত্রী রুবিনাকে মারপিট করে আহত করেন।বিয়ের প্রায় দু বছর পর ২০১৪ সালে ১১ নভেম্বর নাছির আহম্মেদ এস আই পদে চাকুরীতে যোগ দেন বিয়ের তথ্য গোপন করে। এদিকে যৌতুক দাবী ও মেয়ে মারপিটের ঘটনায় রুবিনা আক্তার রুনার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে এস আই নাসির আহমেদ তার বাবা মোস্তাক আহমেদ, মা সালমা আহমেদ ও বোন লাকী খাতুন কে আাসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় নাছির আহম্মেদ গং এর বিরুদ্ধে আদালত প্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন। নাছির আহম্মেদ আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। এছাড়াও আসামি নাছির আহম্মেদ রাজশাহীতে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি র দায়িত্ব পালনের সময় জনৈক রুকু খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ সব ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর ঢাকা নাছির আহম্মেদ কে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং বিভাগীয় মামলা দায়ের করে। পরে বিভিন্ন তদন্তে নাছির আহম্মেদ এর বিয়ের তথ্য গোপন, পরকীয়া ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।এতে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, ফলে নাছির আহম্মেদ কে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি নিয়মে বরখাস্তের পর আর কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।